ইরানের সব
বিমানবন্দর থেকে
ফ্লাইট বাতিলের
ঘোষণা দেয়া
হয়েছে। স্থানীয়
সময় রোববার
(৬ অক্টোবর)
রাত ৯টা
থেকে সোমবার
(৭ অক্টোবর)
সকাল ৬টা
পর্যন্ত দেশটির
সব বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ
থাকবে বলে
জানা গেছে।
কিন্তু হঠাৎ
কেন এমন
সিদ্ধান্ত?
সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া
জানিয়েছে, ইরানের
বেসামরিক বিমান
চলাচল সংস্থার মুখপাত্রের বরাত দিয়ে রোববার
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফ্লাইট বাতিলের এ
খবর দেয়।
ওই মুখপাত্রকে
উদ্ধৃত করে
ইরানের রাষ্ট্রীয়
মিডিয়া বলেছে,
‘পরিচালনাগত সীমাবদ্ধতার’
কারণে ফ্লাইটগুলো
বাতিল করা
হয়েছে। তবে
এ বিষয়ে বিস্তারিত
আর কিছু
জানানো হয়নি
প্রতিবেদনে।
আল-আরাবিয়ার
প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, গত সপ্তাহে
ইসরাইলের বিরুদ্ধে
ইরানের ‘প্রতিশোধমূলক’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার
পর সম্ভাব্য
ইসরাইলি হামলার
আশঙ্কার মধ্যেই
ফ্লাইট বাতিলের
এই ঘটনা
ঘটল।
এদিকে, ইসরাইলের সম্ভাব্য
যেকোনো হামলার
জবাব দিতে
‘সম্পূর্ণ প্রস্তুতি’
নিয়ে রেখেছে
ইরান। ইরানের
তাসনিম নিউজের
খবরে বলা
হয়েছে, ইসরাইল যদি
গত সপ্তাহে
চালানো হামলার
প্রতিশোধ নিতে
কোনো হামলা
চালায় তাহলে
তার জবাব
দেবে ইরান।
এ জন্য সব
প্রস্তুতি নিয়ে
রেখেছে দেশটির
ইসলামিক বিপ্লবী
গার্ড কর্পস
(আইআরজিসি)।
প্রতিবেদনে আরও
বলা হয়েছে,
ইরানের বিরুদ্ধে
হামলায় যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোর
সহায়তা পাওয়ার
চেষ্টা করছে
দখলদার ইসরাইল।
আলাদা প্রতিবেদনে
সংবাদমাধ্যম হারেৎজ
জানিয়েছে, ইসরাইল ইরানের
বিরুদ্ধে হামলার
যে পরিকল্পনা
সাজাচ্ছে, সেখানে ইরানের
পাল্টা জবাবের
বিষয়টিও মাথায়
রাখা হচ্ছে।
অর্থাৎ, ইরান আবারও
মিসাইল ছুড়বে
এমন বিষয়টি
বিবেচনায় রেখেই
তারা হামলার
ছক কষছে।
হারেৎজ আরও
জানিয়েছে, ইরানে হামলার
প্রস্তুতি হিসেবে
গাজায় বর্বরতার
মাত্রা বাড়িয়েছে
ইসরাইলি সেনারা।
প্রসঙ্গত, তেহরানের মিত্র
গ্রুপের কয়েকজন
নেতা ইসরাইলি
হামলায় নিহত
হওয়ার পর,
গত মঙ্গলবার
ইসরাইলে প্রায়
২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র
নিক্ষেপ করে
আইআরজিসি।
ইসরাইলি বিমান
হামলায় হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ
এবং আইআরজিসি’র শীর্ষ জেনারেল
আব্বাস নীলফরউশান
বৈরুতে নিহত
হওয়ার পর,
মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র
হামলা চালায়
ইরান; যা চলতি
বছর ইসরাইলে
ইরানের দ্বিতীয়
সরাসরি হামলা।
তেহরানে হামাস
নেতা ইসমাইল
হানিয়াহকে হত্যার
ঘটনাও ইসরাইলে
ইরানের এ
হামলার অন্যতম
বড় কারণ
বলে মনে
করা হয়।