ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির আলোকে আলোকিত কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রম। বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতি সহমত প্রকাশ করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর স্মার্ট প্রজন্ম, স্মার্ট কৃষি কার্যক্রমের সূচনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ, পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার, বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
শুধু তাই নয়, বাড়ির আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে পারিবারিক সবজির চাহিদা পূরণে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৭শ ‘পারিবারিক পুষ্টি বাগান’ প্রদর্শনীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন, উদ্বুদ্ধকরণ ও পরামর্শে কৃষি খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।
পাশাপাশি কৃষি বিভাগ উঠান বৈঠকের মাধ্যমে আধুনিক কৃষি উৎপাদনের কলাকৌশল, বাস্তুসংস্থানের সুরক্ষাসহ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সম্পর্কে কৃষক-কৃষাণীদের প্রশিক্ষিত করতে উদ্যোগ নেন। আর এ কার্যক্রমের অন্যতম অংশ সবুজ পাঠশালা। শুধু তাই নয়, নিজ দপ্তরে দর্শনার্থী ও সেবাগ্রহীতাদের কৃষি ও পরিবেশ বিষয়ে আগ্রহী করতে কৃষি গ্যালারি ও পরিবেশ ডায়েরির সূচনা করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারাকান্দা ইউনিয়নের গোহাইলকান্দি গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমি কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সাতটি পুকুরের পাড়ে সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছি।
কামারিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির আওতায় চাষাবাদে আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো, আনিছুর হক বলেন, আমাদের গৃহীত পদক্ষেপে দপ্তরের কর্মপরিবেশ থেকে শুরু করে সাধারণ কৃষক উপকৃত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুনিমা কাঞ্চি সুপ্রভা শাওন বলেন, অর্পিত দায়িত্ববোধ থেকে এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই আমি চেষ্টা করছি আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে। পাশাপাশি, বিষমুক্ত ও নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আমরা কৃষকদের নিয়মিত উদ্বুদ্ধ করছি বলে জানান তিনি।