৩ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮৩ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবিয়ান বোলারদের দাপটে যখন কোণঠাসা হয়ে পড়ে অজিরা। তব শেন অ্যাবটের অনবদ্য ফিফটিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অ্যাবট, জশ হ্যাজলউডের বোলিং তোপে ৩৯ বল বাকি থাকতেই ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ব্যক্তিগত ১০ রানেই ফেরেন অভিষিক্ত ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। আলজারি জোসেফের শিকার হয়েই আরেক ওপেনার জশ ইংলিস করেন মাত্র ৯ রান। ৯১ রানের ভেতর ৫ উইকেট হারিয়ে আরও বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে অ্যারন হার্ডিকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন ম্যাথু শর্ট। সেই জুটিতে ফাটল ধরিয়ে আবারও ক্যারিবিয়ানদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন গুদাকেশ মোতি। শর্ট (৪১) ও হার্ডি (২৬) দু’জনকেই নিজের শিকারে পরিণত করেন তিনি।
১৬৭ রানে ৭ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার জন্য দুইশ পেরোনোই মুশকিল মনে হচ্ছিল। কিন্তু অ্যাবটের ভাবনায় ছিল অন্য কিছু। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৬৩ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় উপহার দেন ৬৯ রানের দারুণ এক ইনিংস। রোমারিও শেফার্ডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে উইল সাদারল্যান্ডের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৫৭ ও অ্যাডাম জ্যাম্পাকে নিয়ে নবম উইকেটে ২৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৩টি উইকেট নেন মোতি। এছাড়াও ২টি করে উইকেট পান আলজেরি জোসেফ ও শেফার্ড।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ৩৪ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে চতুর্থ উইকেটে কেসি কার্টিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শাই হোপ। ৫৩ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। হোপকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন হ্যাজলউড। এরপর আরেক সেট ব্যাটার কার্টিকে ফিরিয়ে দেন অ্যাবট। তাতে বড় চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা।
এরপর আর সে চাপ থেকে উতরে উঠতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। রস্টন চেজ কিছুটা চেষ্টা করলে তাকে ফিরিয়ে দেন অ্যাবট। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ৬.৩ ওভার বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন কার্টি। এছাড়া হোপ ২৯ ও চেজ ২৫ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট পান অ্যাবট ও হ্যাজলউড। ২টি উইকেট নেন সাদারল্যান্ড।