ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সহকারী পরিদর্শক মাহমুদ আল নূর জামিল সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়েও বহল তবিয়তে আছেন ফুলপুর উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে। যদিও আইনে বলা আছে, ৪২ (১) কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক মৃত্যুদন্ড বা ১ (এক) বৎসর মেয়াদের অধিক মেয়াদের কারাদন্ডে দন্ডি হইলে, উক্ত দন্ড আরোপের রায় বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে চাকরি হইতে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হইবেন। কিন্তু ফুলপুর উপজেলা সহকারী পরিদর্শক মাহমুদ আল নূর জামিল এর ক্ষেত্রে ভিন্ন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কুকরাইল গ্রামের শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে ১ মাসের ভিতরে টাকা ফেরত দিবে বলে গত জুন ২০২২ সনে ১০ লক্ষ টাকা ধার নেন। সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে তিনি সেই টাকা পরিশোধ করেননি। অতঃপর কোন উপায় না পেয়ে গত ১১ জুন ২০২৩সনে শরিফের বাড়িতে গিয়ে বাংলাদেশ সোনারী বাংক লিঃ মুক্তাগাছা শাখার হিসাব নং ৩৩১৫৯০১০২৭০৬৮ এর চেক নং ৫২৩০৩৪৫ নম্বর এর একটি ১০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন। চেকটি নগদায়নের জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক দেওখোলা শাখায় জমা প্রদান করিলে চেকটি নগদায়নের জন্য কৃষি ব্যাংক দেওখোলা শাখা সোনালী ব্যাংক লিঃ মুক্তাগাছা শাখায় প্রেরন করেন। সেনালী ব্যাংক মুক্তাগাছা শাখা উক্ত চেকটি ১৪ জুন ২০২৩ তারিখে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় ডিজঅনার করেন। পেরে ১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। তাতেও কোন কাজ না হলে শরিফুল ইসলাম আদালতের স্মরণাপন্য হয়। ফুলবাড়ীয়া সি.আর ৯৪১/২৩, দায়রা-২৮১/২৪। আসামী আদালতে অনুউস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে ১ বছরের সাজা ও অর্থ ফেরৎ দেয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালত রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ে কথা বললে তারা ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও আশ^াস প্রদান করেন।